বৃহস্পতিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৫

বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নামকরনের ইতিহাস

আসসালামুয়ালাইকুম / আদাব / নমস্কার /শুভেচ্ছা
আমার এই প্রথম পোষ্ট, ভুল হলে মাফ করবেন।।
বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নামকরনের ইতিহাস
আপনি বাংলাদেশে থাকেন অথচ নিজ দেশের জেলাগুলোর নিয়ে কখনও ভেবেছেন কি? কখনও কি জানতে ইচ্ছে করেছে কিভাবে এই জেলাগুলোর এরকম নাম হয়েছে?
যদি আপনি কখনও এ বিষয়ে ভেবে থাকেন তবে আজকের এই বিশেষ ফিচারটি আপনার মত পাঠককে ভীষণ আনন্দ দিবে। জেনে নিন ৬৪ জেলার ইতিহাস।
**ঢাকা বিভাগঃ-
১. ঢাকা জেলাঃ-
সম্রাটের নামানুসারে এর নামকরণ করে জাহাঙ্গীরনগর
২. ফরিদপুর জেলাঃ-
ফরিদপুরের নামকরণ করা হয়েছে এখানকার প্রখ্যাত সুফী সাধক শাহ শেখ ফরিদুদ্দিনের নামানুসারে।
৩. গাজীপুর জেলাঃ-
কুস্তিগির/পাহলোয়ান গাজীর নামানুসারেই এ অঞ্চলের নাম রাখা হয় গাজীপুর বলে লোকশ্রুতি রয়েছে।
৪. গোপালগঞ্জ জেলাঃ-
গোপাল তিনি তাঁর স্নেহাস্পদ নাতির নাম এবং পুরানো ইতিহাসকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য নাতিন নামের ‘গোপাল’ অংশটি প্রথমে রেখে তার সাথে রাজগঞ্জের ‘গঞ্জ’ যোগ করে এ জাযগাটির নতুর নামকরণ করেন গোপালগঞ্জ।
৫. জামালপুর জেলাঃ-
সাধক দরবেশ হযরত শাহ জামাল (র) এর পূণ্যস্মৃতি বিজড়িত নয়নাভিরাম সৌন্দর্যমন্ডিত গরো পাহাড়ের পাদদেশে যমুনা-ব্রক্ষ্মপুত্র বিধৌত বাংলাদেশের ২০-তম জেলা জামালপুর। হযরত শাহ জামাল (র) এর নামানুসারে জামালপুরের নামকরণ হয়।
৬. কিশোরগঞ্জ জেলাঃ-
ইতিহাসবিদদের ধারণা ও জনশ্রুতি মতে এ জেলার জমিদার ব্রজকিশোর মতান্তরে নন্দকিশোর প্রামানিকের ‘কিশোর’ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত হাট বা গঞ্জের ‘গঞ্জ’ যোগ করে কিশোরগঞ্জ নামকরণ করা হয়।
৭. মাদারীপুর জেলাঃ-
পঞ্চদশ শতাব্দীতে সাধক হযরত বদরুদ্দিন শাহ মাদার (র) এর নামানুসারে এই জেলার নামকরণ করা হয়।
৮. মানিকগঞ্জ জেলাঃ-
মূরত সংস্কৃত ‘মানিক্য’ শব্দ থেকে মানিক শব্দটি এসেছে। মানিক হচ্ছে চুনি পদ্মরাগ। গঞ্জ শব্দটি ফরাসী। মানিকগঞ্জের নামের ঋৎপত্তি ইতিহাস আজও রহস্যবৃত।
৯. মুন্সীগঞ্জ জেলাঃ-
অত্যন্ত সজ্জন ও জনহিতৈষী মুন্সী হায়দার হোসেনের নামে ইদ্রাকপুরের নাম হয় মুন্সীগঞ্জ।
১০. ময়মনসিংহ জেলাঃ-
ষোড়শ শতাব্দীতে বাংলার স্বাধীন সুলতান সৈয়দ আলাউদ্দিন হোসেন শাহ তাঁর পুত্র সৈয়দ নাসির উদ্দিন নসরত শাহ’র জন্য এ অঞ্চলে একটি নুতুন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেই থেকে নসরতশাহী বা নাসিরাবাদ নামের সৃষ্টি।তার আগে আইন-ই-আকবরীতে ‘মিহমানশাহী’ এবং ‘মনমনিসিংহ’ সকার বাজুহার পরগনা হিসেবে লিখিত আছে। যা বর্তমান ময়মনসিংহকেই ধরা হয়।
১১. নারায়ণগঞ্জ জেলাঃ-
১৭৬৬ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা বিকন লাল পান্ডে( বেণু ঠাকুর বা লক্ষীনায়ায়ণ ঠাকুর) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিকট থেকে এ অঞ্চলের মালিকানা গ্রহণ করে। তিনি প্রভু নারায়ণের সেবার ব্যয়ভার বহনের জন্য একটি উইলের মাধ্যমে শীতলক্ষা নদীর তীরে অবস্থিত মার্কেটকে দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করেন। তাই পরবর্তীকালে এ স্থানের নাম হয় নারায়ণগঞ্জ।
১২. নেত্রকোণা জেলাঃ-
নেত্রকোণার নামকরণ হয়েছে নাটেরকোণা নামক গ্রামের নাম থেকে।
১৩. নরসিংদী জেলাঃ-
আনুমানিক পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে রাজা নরসিংহ প্রাচীন ব্যক্ষ্মপুত্র নদের পশ্চিম তীরে নরসিংহপুর নামে একটি ছোট নগর স্থাপন করেছিলেনঅ তাঁরই নামানুসারে নরসিংদী নামটি আবির্ভূত হয়। নরসিংহ নামের সাথে ‘দী’ যুক্ত হয়ে নরসিংদী হয়েছে।
১৪. রাজবাড়ী জেলাঃ-
রাজা সূর্য্য কুমারের নামানুসারে রাজবাড়ীর নামকরণ করা হয়।
১৫. শরীয়তপুর জেলাঃ-
বৃটিশ বিরোধী তথা ফরায়েজী আন্দোলনের অন্যতম নেতা হাজী শরীয়ত উল্লাহর নামানুসারে শরীয়তপুরের নামকরণ করা হয়।
১৬. শেরপুর জেলাঃ-
বাংলার নবাবী আমলে গাজী বংশের শেষ জমিদার শের আলী গাজী দশ কাহনিয়া অঞ্চল দখল করে স্বাধীনভাবে রাজত্ব করেন। এই শের আলী গাজীর নামে দশ কাহনিয়ার নাম হয় শেরপুর।
১৭. টাঙ্গাইল জেলাঃ-
টাঙ্গাইলের ইতিহাস প্রণেতা খন্দকার আব্দুর রহিম সাহেবের মতে, ইংরেজ আমলে এদেশের লোকেরা উচু শব্দের পরিবর্তে ‘টান’ শব্দই ব্যবহার করতে অভ্যস্ত ছিল বেশি। এখনো টাঙ্গাইল অঞ্চলে ‘টান’ শব্দের প্রচলন আছে। এই টানের সাথে আইল শব্দটি যুক্ত হয়ে হয়েছিল টান আইল। আর সেই টান আইলটি রূপান্তরিত হয়েছে টাঙ্গাইলে।
** বরিশাল বিভাগঃ-
বরিশাল বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৩ সালে। বরিশাল, বরগুনা, ঝালকাঠী, পটুয়াখালি, পিরোজপুর ও ভোলা এই ৬ জেলা নিয়ে বরিশাল বিভাগ গঠিত হয়। অবশেষে ২০০০ সালে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয়।
১. বরগুনা জেলাঃ-
উত্তরাঞ্চলের কাঠ ব্যবসায়ীরা এ অঞ্চলে কাঠ নিতে এস খরস্রোতা খাকদোন নদী অতিক্রম করতে গিয়ে অনুকুল প্রবাহ বা বড় গোনের জন্য এখানে অপেক্ষা করত বলে এ স্থানের নাম হয় বড় গোনা।কারো মতে আবার স্রোতের বিপরীতে গুন (দড়ি) টেনে নৌকা অতিক্রম করতে হতো বলে এ স্থানের নাম বরগুনা।
২. বরিশাল জেলাঃ-
এক কিংবদন্তি থেকে জানা যায় যে, পূর্বে এখানে খুব বড় বড় শাল গাছ জন্মাতো, আর এই বড় শাল গাছের কারণে (বড়+শাল) বরিশাল নামের উৎপত্তি।
৩. ভোলা জেলাঃ-
বুড়ো এক মাঝি খেয়া নৌকার সাহায্যে লোকজন পারাপার করতো। তাঁর নাম ছিল ভোলা গাজী পাটনী। বর্তমানে যোগীরঘোলের কাছেই তাঁর আস্তানা ছিল। এই ভোলা গাজীর নামানুসারেই এক সময় স্থানটির নাম দেয়া হয় ভোলা।
৪. ঝালকাঠি জেলাঃ-
মধ্যযুগ-পরবর্তী সময়ে সন্ধ্যা, সুগন্ধা, ধানসিঁড়ি আর বিষখালী নদীর তীরবর্তী এলাকায় জেলেরা বসতি স্থাপন করে। এর প্রাচীন নাম ছিল ‘মহারাজগঞ্জ’। মহারাজগঞ্জের ভূ-স্বামী শ্রী কৈলাশ চন্দ্র জমিদারি বৈঠক সম্পাদন করতেন এবং পরবর্তীতে তিনি এ স্থানটিতে এক গঞ্জ বা বাজার নির্মাণ করেন। এ গঞ্জে জেলেরা জালের কাঠি বিক্রি করত। এ জালের কাঠি থেকে পর্যায়ক্রমে ঝালকাঠি নামকরণ করা হয় বলে ধারণা করা হয়।
৫. পটুয়াখালী জেলাঃ-
পটুয়াখালী চন্দ্রদ্বীপ রাজ্যের অন্তর্ভক্ত ছিল। কথিত আছে, এই “নটুয়ার খাল” খাল থেকে পরবর্তীতে এ এলাকার নামকরণ হয় পটুয়াখালী।
৬. পিরোজপুর জেলাঃ-
“ফিরোজ শাহের আমল থেকে ভাটির দেশের ফিরোজপুর,
বেনিয়া চক্রের ছোয়াচ লেগে পাল্টে হলো পিরোজপুর”
উপরোক্ত কথন থেকে পিরোজপুর নামকরণের একটা সূত্র পাওয়া যায়। কালের বিবর্তনে ফিরোজপুরের নাম হয় ‘পিরোজপুর’।
**চট্টগ্রাম বিভাগঃ-
১. বান্দরবন জেলাঃ-
এই সময় থেকে জায়গাটি “ম্যাঅকছি ছড়া” হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। মার্মা ভাষায় ম্যাঅক শব্দটির অর্থ হল বানর আর ছিঃ শব্দটির অর্থ হল বাধঁ। কালের প্রবাহে বাংল ভাষাভাষির সাধারণ উচ্চারণে এই এলাকার নাম বান্দরবন হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। তবে মার্মা ভাষায় বান্দরবনের প্রকৃত নাম “রদ ক্যওচি চিম্রো’।
২. ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলাঃ-
ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার নামকরণের সঠিক ইতিহাস খুঁজে পাইনি, আপনাদের জানা থাকলে দয়া করে জানাবেন।
৩. চাঁদপুর জেলাঃ-
১৭৭৯ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ শাসনামলে ইংরেজ জরিপকারী মেজর জেমস রেনেল তৎকালনি বাংলার যে মানচিত্র অংকন করেছিলেন তাতে চাঁদপুর নামে এক অখ্যাত জনপদ ছিল। তখন চাঁদপুরের দক্ষিণে নরসিংহপুর নামক ( বর্তমানে যা নদীগর্ভে বিলীন) স্থানে চাঁদপুরের অফিস-আদালত ছিল।
৪. চট্টগ্রাম জেলাঃ-
চট্টগ্রামের প্রায় ৪৮ টি নামের খোঁজ পাওয়া যায়। এর মধ্যে রম্যভূমি, চাটিগাঁ, চাতগাও, রোসাং, চিতাগঞ্জ, জাটিগ্রাম ইত্যাদি। চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে, পন্ডিত বার্নোলির মতে, আরবি ‘শ্যাত (খন্ড) অর্থ বদ্বীপ, গাঙ্গ অর্থ গঙ্গা নদী থেকে চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি। অপর এক মতে ত্রয়োদশ শতকে এ অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করতে এসেছিলেন বার জন আউলিয়া। তাঁরা একটি বড় বাতি বা চেরাগ জ্বালিয়ে উঁচু জায়গায় স্থাপন করেছিলেন। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় ‘চাটি’ অর্থ বাতি বা চেরাগ ্এবং গাঁও অর্থ গ্রাম। এ থেকে নাম হয় ”চাটিগাঁও”। পরে কোম্পানি এর নাম রাখেন চিটাগাং।
৫. কুমিল্লা জেলাঃ-
কুমিল্লা নামকরণের অনেকগুলো প্রচলিত লোককথা আছে, যার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য চৈনিক পরিব্রাজক ওয়াং চোয়াং কর্তৃক সমতট রাজ্য পরিভ্রমণের বৃত্তান্ত। তাঁর বর্ণনায় কিয়া-মল-ঙ্কিয়া ( Kiamolonkia) নামক স্থানের বর্ণনা রয়েছে তা থেকে কমলাঙ্ক বা কুমিল্লার নামকরণ হয়েছে।
৬. কক্সবাজার জেলাঃ-
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি একজন হিরাম কক্সকে নিয়োগ করে। পূনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষ হবার পূর্বেই হিরাম কক্স মৃত্যু বরণ করেন। পূনর্বাসন প্রক্রিয়ায় তাঁর অবদানের জন্য কক্স-বাজার নামক একটি বাজার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই কক্স-বাজার থেকে কক্সবাজার নামের উৎপত্তি।
৭. ফেনী জেলাঃ-
ফেনী নদীর নাম অনুসারে এ অঞ্চলের নাম রাখা হয় ফেনী।
৮. খাগড়াছড়ি জেলাঃ-
খাগড়াছড়ি একটি নদীর নাম। নদীর পাড়ে খাগড়া বন থাকায় খাগড়াছড়ি নামে পরিচিতি লাভ করে।
৯. লক্ষীপুর জেলাঃ-
লক্ষীপুর জেলার নামকরণের সঠিক ইতিহাস খুঁজে পাইনি, আপনাদের জানা থাকলে দয়া করে জানাবেন।
১০. নোয়াখালী জেলাঃ-
নোয়াখালী জেলা প্রচীন নাম ছিল ভুলুয়া। এই বিশাল খালকে নোয়াখালীর ভাষায় ‘নোয়া (নুতুন) খাল’ বলা হত এর ফলে ‘ভুলুয়া’ নামটি পরিবর্তিত হয়ে ১৬৬৮ সালে নোয়াখালী নামে পরিচিতি লাভ করে।
১১. রাঙ্গামাটি জেলাঃ-
বর্তমান রাঙামাটি জেলা সদরের পূর্বদিকে একটি ছড়া ছিল, যা এখন হ্রদের মধ্যে নিমজ্জিত। এই হ্রদের স্বচ্ছ পানি যখন লাল বা রাঙামাটির উপর দিয়ে ঢাল বেয়ে প্রপাত ঘটাতো, তখন তাকে লাল দেখাতো। তাই এই ছড়ার নাম হয়েছিল ‘রাঙামাটি’।
** খুলনা বিভাগঃ-
১. বাগেরহাট জেলাঃ-
সুন্দরবনে বাঘের বাস
দাড়টানা ভৈরব পাশ
সবুজ শ্যামলে ভরা
নদী বাঁকে বসতো যে হাট
তার নাম বাগের হাট।
নদীর বাঁকে হাট বসতো বিধায় বাঁকেরহাট। বাঁকেরহাট হহতে বাগেরহাট।
২. চুয়াডাঙ্গা জেলাঃ-
চুয়াডাঙ্গার নামকরণ সম্পর্কে কথিত আছে যে, এখানকার মল্লিক বংশের আদিপুরুষ চুঙ্গো মল্লিকের নামে এ জায়গার নাম চুয়াডাঙ্গা হয়েছে।
৩. যশোর জেলাঃ-
যশোর নামের উৎপত্তি সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত পাওয়া যায়। যশোর (জেসিনরে) আরবি শব্দ যার অর্থ সাকো।
৪. ঝিনাইদহ জেলাঃ-
অনেকের মতে ঝিনুককে আঞ্চলিক ভাষায় ঝিনেই বা ঝিনাই বলে। দহ অর্থ বড় জলাশয়, দহ ফার্সী শব্দ যার অর্ত গ্রাম। সেই অর্থে ঝিনুক দহ বলতে ঝিনুকের জলাশয় অথবা ঝিনুকের গ্রাম।
৫. খুলনা জেলাঃ-
ধনপতি সাওদাগরের দ্বিতীয় স্ত্রী খুল্লনার নামে নির্মিত ‘খুল্লনেশ্বরী কালী মন্দির’ থেকে খুলনা; ১৭৬৬ সালে ‘ফলমাউথ’ জাহাজের নাবিকদের উদ্ধারকৃত রেকর্ডে লিখিত Culnea শব্দ থেকে খুলনা। ইংরেজ আমলের মানচিত্রে লিখিত Jessore-Culna শব্দ থেকে খুলনা,- কোনটি সত্য তা গবেষকরা নির্ধারণ করবেন।
৬. কুষ্টিয়া জেলাঃ-
কুষ্টিয়া জেলার নামকরণ নিয়ে নানা কাহিনী প্রচলিত আছে, কুষ্টিয়ায় এক সময় কোস্টার(পাট) চাষ হতো বলে কোস্ট শব্দ থেকে কুষ্টিয়ার উৎপত্তি।
৭. মাগুরা জেলাঃ-
কখন থেকে মাগুরা নাম হয়েছে তার সঠিক হিসেব মিলানো কষ্টকর। মাগুরা প্রাচীন আমলের একটি গ্রাম। মাগুরা দু’টি অংশে বিভক্ত ছিল। মহকুমা সদরের পূর্বে মাগুরা ও পশ্চিমে ছিল দরি মাগুরা। দরি শব্দের অর্থ মাদুর বা সতরঞ্জি।
৮. মেহেরপুর জেলাঃ-
ইসলাম প্রচারক মরবেশ মেহের আলী নামীয় জনৈক ব্যক্তির নামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মেহেরপুর রাখা হয়।
৯. নড়াইল জেলাঃ-
নড়িয়াল ফকিরের আশীর্বাদপুষ্ট নড়ি থেকে নড়িয়াল নামের উৎপত্তি।
১০. সাতক্ষীরা জেলাঃ-
সাতক্ষীরা জেলার আদি নাম ছিল সাতঘরিয়া।
** রাজশাহী বিভাগঃ-
১. বগুড়া জেলাঃ-
দিল্লরি সুলতান গিয়াসউদ্দীন বলবনের ২য় পুত্র সুলতান নাসিরউদ্দীন বগরা খান বাংলার শাসনকর্তা নিযুক্ত হন। তাঁর নামানুসারে বগুড়া জেলার নামকরণ করা হয়েছে।
২. জয়পুরহাট জেলাঃ-
জেলার নামকরণের সঠিক ইতিহাস খুঁজে পাইনি, আপনাদের জানা থাকলে দয়া করে জানাবেন।
৩. নওগাঁ জেলাঃ-
নওগাঁ শব্দের উৎপত্তি হয়েছে ‘নও'(নুতুন) ও ‘গাঁ (গ্রাম) শব্দ থেকে শব্দ দুটি ফরাসী। নওগাঁ শব্দের অর্থ হলো নুতুন গ্রাম।
৪. নাটোর জেলাঃ-
নাটোর জেলার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নারদ নদী কথিত আছে এই নদীর নাম থেকেই ‘নাটোর’ শব্দটির উৎপত্তি।
৫. নবাবগঞ্জ জেলাঃ-
‘চাপাইনবাবগঞ্জ’ নামটি সাম্প্রতিকালের।এই এলাকা ‘নবাবগঞ্জ নামে পরিচিত ছিল।
৬. পাবনা জেলাঃ-
‘পাবনা’ নামকরণ নিয়ে কিংবদন্তির অন্ত নেই। এক কিংবদন্তি মতে গঙ্গার ‘পাবনী’ নামক পূর্বগামিনী ধারা হতে পাবনা নামের উৎপত্তি হয়েছে।
৭. রাজশাহী জেলাঃ-
ঐতিহাসিক অক্ষয় কুমার মৈত্রেয়র মতে রাজশাহী রাণী ভবানীর দেয়া নাম। অবশ্য মিঃ গ্রান্ট লিখেছেন যে, রাণী ভবানীর জমিদারীকেই রাজশাহী বলা হতো
৮. সিরাজগঞ্জ জেলাঃ-
বেলকুচি থানায় সিরাজউদ্দিন চৌধুরী নামক এক ভূস্বামী (জমিদার) ছিলেন। তিনি তাঁর নিজ মহালে একটি ‘গঞ্জ’ স্থাপন করেন। তাঁর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় সিরাজগঞ্জ।
** রংপুর বিভাগঃ-
বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক পূণর্বিন্যাসসংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (National Implementation Committee for Administrative Reform:NICAR) ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি তারিখে রংপুরকে দেশের সপ্তম বিভাগ হিসেবে অনুমোদন দেয়।
১. দিনাজপুর জেলাঃ-
জনশ্রুতি আছে জনৈক দিনাজ অথবা দিনারাজ দিনাজপুর রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর নামানুসারেই রাজবাড়ীতে অবস্থিত মৌজার নাম হয় দিনাজপুর।
২. গাইবান্ধা জেলাঃ-
প্রায় পাচ হাজার বছর আগে মৎস্য দেশের রাজা বিরাটের রাজধানী ছিল গাইবান্ধার গোবিন্দগজ থানা এলাকায়। বিরাট রাজার গো-ধনের কোন তুলনা ছিল না। তার গাভীর সংখ্যা ছিল ষাট হাজার। মাঝে মাঝে ডাকাতরা এসে বিরাট রাজার গাভী লুণ্ঠন করে নিয়ে যেতো।
৩. কুড়িগ্রাম জেলাঃ-
কুড়িগ্রাম-এর নাম করণের সঠিক ইতিহাস জানা যায়নি। অনেকে মনে করেন গণনা সংখ্যা কুড়ি থেকে কুড়িগ্রাম হয়েছে। কারো মতে কুড়িটি কলু পরিবার এর আদি বাসিন্দা ছিল। তাই এর নাম কুড়িগ্রাম।
৪. লালমনিরহাট জেলাঃ-
বৃটিশ সরকারের আমলে বর্তমান লালমনিরহাট শহরের মধ্যে দিয়ে রেলপথ বসানোর সময় উল্লিখিত অঞ্চলের রেল শ্রমিকরা বন-জঙ্গল কাটতে গিয়ে জনৈক ব্যক্তি ’লালমনি’ পেয়েছিলেন। সেই লালমনি থেকেই পর্যায়ক্রমে লালমনিরহাট নামের উৎপত্তি হয়েছে।
৫. নীলফামারী জেলাঃ-
প্রায় দুই শতাধিক বছর পূর্বে এ অঞ্চলে নীল চাষের খামার স্থাপন করে ইংরেজ নীলকরেরা।
৬. পঞ্চগড় জেলাঃ-
“পঞ্চ” (পাঁচ) গড়ের সমাহার “পঞ্চগড়” নামটির অপভ্রমংশ “পঁচাগড়” দীর্ঘকাল এই জনপদে প্রচলিত ছিল। কিন্তু গোড়াতে এই অঞ্চলের নাম যে, ‘পঞ্চগড়ই’ ছিলো সে ব্যাপারে সন্দেহর কোন অবকাশ নেই। বস্তুত ভারতীয় উপমহাদেশে “পঞ্চ” শব্দটি বিভিন্ন স্থান নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
৭. রংপুর জেলাঃ-
প্রাগ জ্যোতিস্বর নরের পুত্র ভগদত্তের রঙ্গমহল এর নামকরন থেকে এই রঙ্গপুর নামটি আসে। রংপুর জেলার অপর নাম জঙ্গপুর ।
৮. ঠাকুরগাঁও জেলাঃ-
ঠাকুরগাঁও এর আদি নাম ছিল নিশ্চিন্তপুর।
** সিলেট বিভাগঃ-
১. হবিগঞ্জ জেলাঃ-
ঐতিহাসিক সুলতানসী হাবেলীর প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ সুলতানের অধঃস্তন পুরুষ সৈয়দ হেদায়েত উল্লাহর পুত্র সৈয়দ হাবীব উল্লাহ খোয়াই নদীর তীরে একটি গঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর নামানুসরে হবিগঞ্জ নামকরণ করা হয়।
২. মেীলভীবাজার জেলাঃ-
মৌলভী সৈয়দ কুদরতউল্লাহ প্রতিষ্ঠিত এ বাজারে নৌ ও স্থলপথে প্রতিদিন লোকসমাগম বৃদ্ধি পেতে থাকে। ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমের মাধ্যমে মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে মৌলভীবাজারের খ্যাতি। মৌলভী সাহেবের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরুপ এই অঞ্চলের নাম হয় মৌলভীবাজার।
৩. সুনামগঞ্জ জেলাঃ-
‘সুনামদি’ নামক জনৈক মোগল সিপাহীর নামানুসারে সুনামগঞ্জের নামকরণ করা হয়েছিল বলে জানা যায়।
৪. সিলেট জেলাঃ-
প্রাচীন গ্রন্থাদিতে এ অঞ্চলকে বিভিন্ন নামের উল্লেখ্য আছে। হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে শিবের স্ত্রী সতি দেবীর কাটা হস্ত (হাত) এই অঞ্চলে পড়েছিল, যার ফলে ‘শ্রী হস্ত’ হতে শ্রীহট্ট নামের উৎপত্তি বলে হিন্দু সম্প্রদায় বিশ্বাস করেন। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকের ঐতিহাসিক এরিয়ান লিখিত বিবরণীতে এই অঞ্চলের নাম “সিরিওট” বলে উল্লেখ আছে। আর এভাবেই শ্রীহট্ট থেকে রূপান্তর হতে হতে একসময় সিলেট নামটি প্রসিদ্ধ হয়ে উঠেছে বলে ঐতিহাসিকরা ধারণা করেন।সুত্রঃ ইন্টারনেট ।

MS Office 2013/MS Office 365-কে Full Version করুন, Crack, Serial key বা Keyzen ছাড়াই!

MS Office 2013/MS Office 365-কে Full Version করুন, Crack, Serial key বা Keyzen ছাড়াই!

Microsoft Office Suite হলো এমন একটি প্রয়োজনীয় Software; যা ছাড়া Computer-এর কথা চিন্তাই করা অসম্ভস। বলা যায়… Microsoft Office হলো Computer related কাজের মেরুদন্ড। Computer related কাজের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোন না.. কোন ভাবেই Microsoft Office Suite ব্যবহুত হয়ে থাকে। যেমন ধরুনঃ- কিছু লিখার জন্য MS Word, Presentation-এর জন্য MS Power Point, কোন কিছুর তালিকা বা List করার জন্য MS Excel ব্যবহার হয়। আর এইগুলোর সব কিছুই Microsoft Office ‍Suite-রই এক-একটা অংশ। Microsoft Office Suite ১২টি আলাদা আলাদা সফটওয়্যার বা টুলস নিয়ে তৈরী হয়। ঠিক একইভাবে Microsoft Office Suite 2013-এর মধ্যে আছে…

  1. Microsoft Office Word 2013
  2. Microsoft Office Excel 2013
  3. Microsoft Office PowerPoint 2013
  4. Microsoft Office Outlook 2013
  5. Microsoft Office Access 2013
  6. Microsoft Office OneNote 2013
  7. Microsoft Office Project 2013
  8. Microsoft Office Publisher 2013
  9. Microsoft Office Visio 2013
  10. Microsoft Office Send to OneNote 2013
  11. Microsoft Office SkyDrive Pro 2013
  12. Microsoft Office Office Tools 2013

http://www.virtualaia.com/2014/11/download-microsoft-office-365-ms-2013.html
MS Office 1230
How to Make Full Version MS Office 2013:
  • আপনার পিসি থেকে প্রথমে RUN program টি অপেন করুন। এর জন্য Keyboard থেকে Win+R ব্যবহার করতে পারেন।
  • এবার টাইপ করুন REGEDIT এবং Press ENTER key
  • নিচের উল্লেখিত Location-এ যান…
HKEY_LOCAL_MACHINE>>SOFTWARE>>Microsoft>>Office>>15.0
  • এবার Location-টিতে এসে  REGISTRATION folder–টি ডিলিট করে ফেলুন।

আর এই ভাবেই আপনার MS Office 2013/MS Office 365–টি কোন প্রকার অতিরিক্ত Crack, Serial key বা Keyzen ছাড়াই, Full Version করতে সক্ষম হবেন।

আপনার ল্যাপটপ এর জমে থাকা ময়লা পরিষ্কারের পদ্ধতি জেনে নিন। আপনার ল্যাপটপ এর যত্ন নিন, সুরক্ষিত থাকুন…

আপনার ল্যাপটপ এর জমে থাকা ময়লা পরিষ্কারের পদ্ধতি জেনে নিন। আপনার ল্যাপটপ এর যত্ন নিন, সুরক্ষিত থাকুন…

ল্যাপটপ একটি অতি প্রয়োজনীয় ডিভাইস। পোর্টাব্যলিটি এবং শক্তিশালী স্পেসিফিকেশনের কারণে এখন পর্যন্ত এই ডিভাইসটি টেক গিকদের পছন্দের তালিকায় এক নম্বরেই রয়েছে।  এই ডিভাইসটি যেহেতু সচরাচর আমরা ঘরের বাইরেও ব্যবহার করে থাকি তাই ডিভাইসটি দীর্ঘ দিন ব্যবহারের পর এর ভেতরে অনেক প্রকার ময়লা জমে যায়। ল্যাপটপ এর ভিতরে ময়লাগুলো মূলত এর কুলিং ফ্যান, ভেন্টিলেটর এবং হিট স্কিনেই বেশি পরিমাণে জমে, যার ফলে এটি ল্যাপটপ এর কুলিং সিস্টেমকে তার কাজ পরিপুর্ন ভাবে করতে বাঁধা প্রদান করে। ফলাফল স্বরূপ ল্যাপটপ টির কুলিং সিস্টেম শতভাগ কাজ করতে না পারায় ডিভাইসটি অল্প ব্যবহারেই অনেক বেশি গরম হয় যায়।
ল্যাপটপ এর ক্ষেত্রে কুলিং সিস্টেম কাজ করাটা বেশ গুরুত্বপুর্ন। কেননা, ল্যাপটপ ডিভাইসের বডি সাধারণত অনেক কম স্পেসের হয়ে থাকে এবং এর জন্য হার্ডওয়্যার গুলো উত্তপ্ত হয়ে সহজেই ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও, কুলিং ফ্যানে ময়লা জমার কারণে সেই ফ্যানটির ঘুরতে বেশি ইলেক্ট্রিক সোর্সের প্রয়োজন পরে যার ফলে দ্রুত ড্রেইন হয় ল্যাপটপ এর ব্যাটারিও! বুঝতেই পারছেন, এইটুকু ময়লাই আপনার কতটুকু ক্ষতি করতে সক্ষম!  তাই, আজকের টিউটোরিয়ালটিতে ল্যাপটপ এর ময়লা কীভাবে পরিষ্কার করতে হয় – এ সম্পর্কে আমি আপনাদের যথাযত গাইড চেষ্টা করতে চেষ্টা করব।
আমি এই ল্যাপটপ এর  ময়লা পরিষ্কারের মিশনকে দু’টি ভাগে ভাগ করছি,
১। আপনি যদি আপনার ল্যাপটপ টি খুলতে সক্ষম হন
২। আপনি যদি আপনার ল্যাপটপ টি খুলতে অপারগ হন
চলুন তাহলে, শুরু করা যাক।

১। আপনি যদি আপনার ল্যাপটপ টি খুলতে সক্ষম হন

বর্তমান সময়ের অধিকাংশ ল্যাপটপ এর বিল্ড আর্কিটেকচার এমন ভাবে প্রস্তুত করা হয় যাতে করে একজন ব্যবহারকারী এটি পুরোপুরি খুলতে সক্ষম না হয়; এখন এর পিছে ম্যানুফ্যাকচার প্রতিষ্ঠানের কোন লজিকটি কাজ করে আমি জানিনা। হয়তো তারা ‘সেফটি’ দেখেন, আর নয়তো ‘বিসনেস’!! তো যাই হোক, এর ফলে সমস্যার পরিমাণই বেশি হয়। কেননা, ল্যাপটপ টি পুরোপুরি পরিষ্কার করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।
বাংলাদেশি হোস্টগেটর হোস্টিং
খেয়াল করে দেখুন, আপনার ল্যাপটপ এর  নিচে একটি প্যানেল আছে (একের বেশিও থাকতে পারে) এবং সেই প্যানেলটি ল্যাপটপ এর  আপার বডির সাথে অনেক গুলো স্ক্রু দ্বারা যুক্ত। সাবধানে স্ক্রু গুলো খুলে নিচের প্যানেলটি খুলে ফেলুন। যদি আপনার কাছে প্রসেসটি কঠিন মনে হয় তবে আপনি অনলাইনে আপনার ডিভাইসটি খুলতে হয় সে সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন। এছাড়াও কিছু কিছু ল্যাপটপ এর  সাথে স্পেশাল ‘সার্ভিস ম্যানুয়াল’ থাকে। যদি আপনার ল্যাপটপ এর সার্ভিস ম্যানুয়ালটি আপনার কাছে থেকে থাকে তবে সহজেই আপনার ল্যাপটপ টি আপনি খুলতে পারবেন।

ল্যাপটপ এর জমে থাকা ময়লা পরিষ্কারের পদ্ধতি

ল্যাপটপ এর জমে থাকা ময়লা (1)
মনে রাখবেন, অনেক ম্যানুফ্যাকাচারার প্রতিষ্ঠানেই এমন নিয়ম রয়েছে যে একজন ব্যবহারকারী নিচের প্যানেল খুললেই সেই ডিভাইসটির ওয়ারেন্টি বাতিল হয়ে যাবে, তাই প্রথমে নিশ্চিত হয়ে নিন। এবার ধরে নিচ্ছি আপনার ল্যাপটপ টি আপনি খুলে ফেলেছেন, এখনঃ-
১। প্রথমে স্ক্রু গুলো গুছিয়ে এক স্থানে রাখুন।
২। এমন কোন জায়গায় কাজ করুন যে যায়গাটুকু ময়লা হলে সমস্যা হবেনা।
৩। একটি ব্লোয়ারের সাহায্যে এমন ভাবে ব্লো করুন যাতে করে ল্যাপটপ এর  ময়লাগুলো আরোও ভিতরে না ঢুকে ল্যাপটপ এর  ভেন্টিলেটর দিয়ে বের হয়ে যায়।
৪। আপনি যদি ব্লোয়ারের সাহায্যে ল্যাপটপ এর কুলার ফ্যানটিকের পরিষ্কারের উদ্দেশ্যে বেশি দ্রুত স্পিন করান তবে এটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই খেয়াল করে পরিমাণ মত প্রেসার দিন কুলার ফ্যানে। সবথেকে ভালো হয় যদি আপনি কুলার ফ্যানটিকে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ব্লোয়ার দিয়ে হালকা হালকা ব্লাস্ট দিতে পারেন।
এভাবেই আপনি আপনার ল্যাপটপ টিকে শতভাগ না হলেও ভালোই ময়লা মুক্ত করতে সক্ষম হবেন।
10606371_294759747386606_6274249344768116091_n
** মনে রাখবেন, কমদামী ব্লোয়ার গুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ফিক্সড পাওয়ারের হয়ে থাকে ফলে ওগুলো দিয়ে ল্যাপটপ এর ময়লা পরিষ্কার করাটা রিস্কি হতে পারে। তাই ব্লোয়ার ব্যবহারের সময় যেগুলোতে আপনি পাওয়ার অ্যাডজাস্ট করতে পারবেন সেগুলোই ব্যবহার করতে চেষ্টা করুন। আর সবচাইতে ভালো হয় আপনি যদি কমপ্রেসড এয়ার ব্যবহার করতে পারেন, এর অপর নাম ‘ক্যানড এয়ার’।

ল্যাপটপ এর জমে থাকা ময়লা পরিষ্কারের পদ্ধতি

ল্যাপটপ এর জমে থাকা ময়লা

২। আপনি যদি আপনার ল্যাপটপ টি খুলতে অপারগ হন

আগেই বলেছি আধুনিক ল্যাপটপ গুলোর বিল্ড আর্কিটেকচার সম্পর্কে। কিন্তু, ম্যানুফ্যাকচারার চাক বা না চাক, ময়লা তো ল্যাপটপ এর ভিতরে জমবেই। আর এজন্যে আপনার কিছু সমস্যারও সম্মুখীন হতে হবে। যদিও, এই পদ্ধতিতে খুব অল্পই ময়লা পরিষ্কার করা সম্ভব… তবুও চলুন, জেনে নেই।
১। ক্যানড এয়ারের মাধ্যমে আপনি আপনার ভেন্টিলেটর টার্গেট করে বাতাসের ব্লাস্ট দিন। এতে করে সব ময়লা পরিষ্কার না হলেও ভেন্টিলেটর , কুলিং ফ্যান এবং আরও কিছু ময়লা কিছুটা হলেও পরিষ্কার হবে।
২। আগেও বলেছি, কুলিং ফ্যান বেশি দ্রুত স্পিন করলে তা ড্যামেজ হতে পারে।
৩। কীবোর্ডের উপর দিয়ে ব্লাস্ট দিন। অনেক ডিভাইসের কীবোর্ড লেয়ারর নিচে একটা নিরাপত্তা স্তর থাকেনা, বা কিছু ফাঁক ফোঁকর থাকে।
৪। ব্যাটারী খুলে, ব্যাটারী প্যানেলে কোন ছিদ্র থাকলে তা টার্গেট করে ভেন্টিলেটরের দিকে এয়ার ব্লাস্ট করুন। তাতে কিছুটা ময়লা পরিষ্কার হবে।
এভাবে বেশি ডাস্ট পরিষ্কার হবেনা কিন্তু অবশ্যই কুলিং ফ্যান এবং ভেন্টিলেটর পরিষ্কার হওয়ায় আপনার ল্যাপটপ এর কুলিং সিস্টেম ভালো কাজ করবে।

শেষ কথাঃ

আপনার ল্যাপটপ টির যদি খুব দ্রুতই ওভারহিটিং এর সমস্যা থাকে এবং আপনি পরিষ্কার করতে অপারগ হন তবে আপনার উচিৎ বিলম্ব না করে প্রোফেশনালদের সার্ভিস গ্রহণ করা, কেননা ছোট ছোট সমস্যাই বড় কোন দূর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ভালো থাকুন।

মহাবিশ্বের শেষ সীমানা কোথায়? জানেন কি?


মহাবিশ্বের শেষ সীমানা কোথায়? জানেন কি?

কেমন আছেন আপনারা? চলুন আজকে একটু বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করি
আমাদের সবার মনের কোণায়ই কখনও না কখনও একটা প্রশ্ন উকিঝুঁকি মেরেছে যেটা হলো, আমরা যদি কখনও মহাবিশ্বের শেষ প্রান্তে পৌছাতে পারি তাহলে কি হবে? খাদের কিনারায় দাড়িয়ে যেভাবে আমরা মাথা ঝুকিয়ে নিচে কি আছে দেখার চেষ্টা করি সেভাবে যদি মাথা ঝুকিয়ে দাড়াই তাহলে আমাদের মাথাটা কোথায় থাকবে? তখন তো মাথাটা আর মহাবিশ্বের সীমানার মধ্যে নেই? আমরা কি খুঁজে পাবো মহাবিশ্ব ছাড়িয়ে?
universe-wallpaper-20

উত্তরটা কিন্তু খুবই হতাশাজনক কারণ আমরা কখনই মহাবিশ্বের শেষ প্রান্তে পৌছাতে পারব না। এর কারনটা কিন্তু এই না যে যেতে খুব বেশি সময় লাগবে, যদিও কথাটা সত্যি, কিন্তু আসল কারনটা হলো আমরা যদি মহাবিশ্বের বাইরের দিকে একটা সরলরেখা ধরে ক্রমাগত, বিরামহীণ ভাবে অনন্তকাল ধরে যেতেই থাকি তারপরও আমাদের পক্ষে কখনই মহাবিশ্বের শেষ সীমানায় পৌছানো সম্ভব হবে না। বরং আমরা যে জায়গা থেকে শুরু করেছিলাম সেখানেই আবার ফিরে আসার সম্ভাবনা আছে। আর ততক্ষণে হয়ত আমাদের আরেকবার চেষ্টা করার উৎসাহ আর থাকবে না।
কেন পৌছাতে পারব না? কারন হলো আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার সুত্রের সাথে সামন্জস্য রেখে স্পেসটা অদ্ভুত ভাবে বাঁকানো বা মোচড়ানো। যেটা আমাদের পক্ষে সঠিকভাবে কল্পনা করা সম্ভব না। সহজ করে বলা যায় মহাবিশ্বটা বিশাল এবং নিরন্তর প্রসারিত হচ্ছে এমন কোনো বুদবুদের ভিতরে ভেসে বেড়াচ্ছে না। আমরা যখন বলি যে স্পেস প্রসারিত হচ্ছে আসলে সেটা ভুল। বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী এবং নোবেল পুরস্কার বিজয়ী স্টিভেন ওয়াইনবার্গের ভাষায়, ” সৌর জগৎ বা তারকালোক গুলো প্রসারিত হচ্ছে না এবং স্পেস নিজেও প্রসারিত হচ্ছে না বরং তারকালোকগুলো (গ্যালাক্সি) একে অপরের থেকে দুরে সরে যাচ্ছে।” মহাবিশ্বটা একই সাথে বাউন্ডলেস কিন্তু ফাইনাইট। এটা বোধগম্য করা আমদের ইনট্যুইশন বা অন্তর্জ্ঞানের জন্যে একটা বিশাল চ্যালেন্জ। জীববিজ্ঞানী জে.বি.এস হ্যালডেন মজা করে বলেছিলেন, ” মহাবিশ্বটা আসলে আমরা যতখানি ভাবি তার থেকেও বেশি অস্বাভাবিক বা যতখানি আমাদের ইমাজিন করার ক্ষমতা আছে তার থেকেও অনেক বেশি অস্বাভাবিক।”
স্পেসের বক্রতার ব্যাপারটা ব্যখ্যার জন্য একটা উদাহরণ ব্যবহার করা যেতে পারে। ধরুন এমন একজন লোক যে কিনা একটা সমতল পৃথিবীতে বাস করে এবং জীবনেও কখনও কোনো গোল জিনিষ দেখেনি। তাকে যদি আমাদের পৃথিবীতে এনে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং সে আমাদের পৃথিবীর শেষ সীমানায় পৌছানোর জন্য হাটা শুরু করে তবে সে কোনোদিনই তা খুঁজে পাবে না। সে হয়ত এক সময় যেখান থেকে শুরু করেছিলো সেখানেই আবার ফিরে আসবে। এই ব্যাপারটা নিঃসন্দেহে তাকে কিংকর্তব্যবিমূড় করে ফেলবে। সে কিছুতেই বুঝতে পারবে না এটা কিভাবে সম্ভব। আমরাও হচ্ছি আরও উঁচু মাত্রার স্পেসের মধ্যে সেই সমতল-ভূমির হতবুদ্ধি মানুষের মত।
মহাবিশ্বের যেরকম কোনো স্হান নেই যেখানে আমরা দাড়িয়ে বলতে পারব এইটা হচ্ছে এর শেষ সীমা সেরকম কোনো কেন্দ্রও নাই যেখানে দাড়িয়ে আমরা বলতে পারব এইটাই সেই যায়গা যেখান থাকে সব কিছুর শুরু হয়েছিলো বা এটাই মহাবিশ্বের কেন্দ্রবিন্দু।
আমাদের জন্য মহাবিশ্বটা ততদূর লম্বা যতদূর পর্যন্ত আলো মহাবিশ্ব সৃষ্টির পর থেকে আজ পর্যন্ত পৌছাতে পেরেছে। এই দৃশ্যমান বিশ্ব, যেটা সম্পর্কে আমরা জানি বা যেটা নিয়ে কথা বলতে পারি, মিলিয়ন, মিলিয়ন, মিলিয়ন, মিলিয়ন (১,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০) মাইল ব্যাপি বিস্তৃত।এর পরে আরও যা আছে সেটার হিসাব হয়ত সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা যাবে না।
সূত্র: এ শর্ট হিস্ট্রি অব নিয়ারলি এভরিথিং (বিল ব্রাইসন)।

দূর থেকে পিসি নিয়ন্ত্রণ করুন আইফোন বা আইপ্যাড অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল দিয়ে!

দূর থেকে পিসি নিয়ন্ত্রণ করুন আইফোন বা আইপ্যাড অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল দিয়ে!

অ্যান্ড্রয়েডের পর এবার আইওএস চালিত ডিভাইস আইফোন ও আইপ্যাড দিয়ে দূর থেকে পিসি নিয়ন্ত্রণ সুবিধা আনল গুগল। সম্প্রতি আইফোন ও আইপ্যাড এর জন্য ‘ক্রোম রিমোট ডেস্কটপ অ্যাপ’ নামে আইওএস সংস্করণের জন্য অ্যাপ উন্মুক্ত করেছে গুগল। আইফোন বা আইপ্যাড স্মার্টফোন ও ট্যাব ব্যবহার করে দূর থেকে পিসিতে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সুবিধা দেবে এই অ্যাপটি। এ ছাড়া দূরে কোনো বন্ধুর আইফোন থেকেও পিসির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে নেওয়া যাবে। এ জন্য কম্পিউটারে ক্রোম ওয়েব স্টোর থেকে ক্রোম রিমোট ডেস্কটপ সেটআপ করে নিতে হবে।
গুগল ক্রোম রিমোট ডেস্কটপ অ্যাপ






আইফোন বা আইপ্যাডে অ্যাপটি চালু করে অনলাইন কম্পিউটার থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা যাবে। এই অ্যাপটি একটি কোড তৈরি করে, যা স্মার্টফোন ও ট্যাবে দিতে হয়।

অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল দিয়ে দূর থেকে ডেস্কটপের নিয়ন্ত্রণ

গুগল সম্প্রতি ক্রোম রিমোট ডেস্কটপ নামের একটি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছে, যা অ্যান্ড্রয়েড পণ্য ব্যবহারকারীদের দূর থেকে ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে কম্পিউটার চালানোর সুবিধা করে দেবে।
গুগল জানিয়েছে, অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ স্টোর ‘প্লে স্টোর’ থেকে ক্রোম রিমোট ডেস্কটপ অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে হবে এবং গুগল আইডি দিয়ে লগইন করলে দূর থেকে ডেস্কটপ চালানো যাবে। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস থেকে ডেস্কটপের নিয়ন্ত্রণ নিতে একটি পিন নম্বর দিতে হবে। ডেস্কটপে রিমোট অ্যাকসেস সেট করতে হলে এই পিন নম্বর দিতে হবে।
দূর থেকে অ্যান্ড্রয়েডচালিত পণ্য থেকে ডেস্কটপ চালাতে ডেস্কটপটি অবশ্যই চালু থাকতে হবে এবং ইন্টারনেট সংযোগ চালু থাকতে হবে।
গুগল জানিয়েছে, ম্যাক, উইন্ডোজ, গুগল ওএস কিংবা লিনাক্সচালিত ডেস্কটপে এই অ্যাপটি কাজ করবে।
চলতি বছরেই দূর থেকে ডেস্কটপ নিয়ন্ত্রণের জন্য আইওএস অ্যাপ উন্মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে গুগল।
আরও জানার লিংক: https://play.google.com/store/apps/details?id=com.google.chromeremotedesktop
পূর্ববর্তী:নিম্নমানের সেবায় কমছে এয়ারটেল গ্রাহক
পরবর্তী:যেকোন ভিডিও কে বানিয়ে ফেলুন এ্যানিমেটেড ইমেজ, ছোট্ট একটি সফটওয়্যার দিয়ে

ALL WEBSITE LIST IN THE WORLD

PC SOFTWARE DOWNLOAD SITE 1→www.moviesnhacks.com 2→www.mediafiremoviez.com 3→www.mediafirebd.com 4→www.mediafiremoviez.net 5→www.mediafiremovies.net 6→www.mediafirefilms.com 7→www.brripmediafire.com 8→www.mediafirezero.net 9→www.urgrove.com 10→www.ganool.com 11→www.yourpcmovies.net 12→www.amoviez.com 13→www.mediafirebass.com 14→www.getmediafire.com 15→www.mediafirerocks.com 16→www.mediafiremovie.org 17→www.blastmediafire.com 18→www.mediafirehacks.com 19→www.tinymoviez.com 20→www.mediafire-movie.com 21→www.ywarez.com 22→www.mediafirehbo.com 23→www.mediafiretools.com 24→www.planetpc.in 25→www.megablaze.com 26→www.getindianstuff.com 27→www.300mbrips.net 28→www.moviezplanet.in 29→www.moviehostmedia.org 30→www.getmediafire.com 31→www.downloadsguru.com 32→www.hnmovies.com 33→www.hdmovies.com 34→www.hdmoviez.com 35→www.mediafiremoviea.net 36→www.mediafiregoogle.com 37→www.mediafirehomes.com 38→www.bizmediafire.com 39→www.newmovies.org 40→www.goldenmediafire.com

aro notun o sumdor sob kajer website pete shathei thakun.

http://www.glitter-graphics.com http://www.3dtextmaker.com http://www.flamingtext.com http://www.textspace.net TEXT MAKE EASY.

For your

All website list 1-77

ALL WEBSITE LIST IN THE WORLD